ছবিতে মৌলভীবাজারের ডিসি, এসপি এবং সিভিল সার্জন : বিডিজাগরণ২৪.কম
করোনা ভাইরাস আতঙ্কের অবসান হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজধানীতে প্রতিষেধক সেবন করেছেন অনেকেই। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রোববার করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক (ভেকসিন) প্রদান শুরু হবে মৌলভীবাজারে। প্রথম করোনা ভাইরাসের ভেকসিন নিবেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, সিভিল সার্জন ডাক্তার চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ।
করোনা ভাইরাসের ভেকসিন প্রদান প্রসঙ্গে আজ ৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সারে এগারোটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় করোনা ভাইরাসের ভেকসিন জেলার ৭টি উপজেলায় ভেকসিন বন্টনের বিষয়ে এবং গ্রহণের পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে ১৫ ক্যাটাগরির মানুষ ভেকসিন গ্রহণ করতে পারবেন। সম্মুখ সারির যোদ্ধা ডাক্তার, পুলিশ, প্রশাসন, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি সহ কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ৫৫ বছরের বেশি বয়সের যে কোন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক (ভেকসিন) গ্রহণ করতে পারবেন।
ভেকসিন গ্রহণের জন্য সর্বপ্রথম অনলাইনে নিবন্ধন (রেজিষ্ট্রেশন) করতে হবে। এজন্য www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে যাচাই করে নির্ধারিত ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে যে কেউ মোবাইল, কম্পিউটারে বসে নিজের নিবন্ধন নিজে করতে পারবেন।
নিবন্ধন করার জন্য নিবন্ধন কারীকে মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে ২ বার ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) নিশ্চিত করতে হবে। এরপর ধারাবাহিক ভাবে সকল ধাপ পূরণ করে নিবন্ধন নিশ্চিত করা যাবে। নিবন্ধন সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে প্রতিটি সরকারি দপ্তরে এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাবে।
ভেকসিন গ্রহণের স্থান নিবন্ধন কারীকে সিলেক্ট করে দিতে হবে। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকারি হাসপাতাল থেকে ভেকসিন প্রদানের সময় এবং তারিখ মোবাইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
মৌলভীবাজারে ৬ হাজার ভায়ালে মোট ৬০ হাজার ডোজ ভেকসিন এসেছে। যা ৩০ হাজার মানুষকে প্রদান করা যাবে। প্রথম ডোজ ভেকসিন গ্রহণের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন।
উপজেলা ভিত্তিক বন্টনে মৌলভীবাজার সদর ও কুলাউড়ায় ৫ হাজার ৫০০ ডোজ করে ১১ হাজার ডোজ, রাজনগরে ৩ হাজার ৫০০ ডোজ, জুড়ীত ২ হাজার ৫০০ ডোজ, বড়লেখা ও কমলগঞ্জে ৪ হাজার ডোজ করে ৮ হাজার ডোজ ভেকসিন প্রদান করা হয়েছে।