এই প্রথমবারের মতো, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বেসরকারি সংস্থার তৈরি সিভিল সুপারসনিক জেট শব্দের গতি ভাঙ্গতে সক্ষম হয়েছে। বুম সুপারসনিক এর ডেমোনস্ট্রেটর জেট ১২ জানুয়ারি মঙ্গলবার ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার মোহাভে এয়ার অ্যান্ড স্পেস পোর্ট থেকে লাইভস্ট্রিম করা এই পরীক্ষা উড়ানটি ছিল বিস্ময়কর।বুম সুপারসনিকের প্রধান পরীক্ষক পাইলট ট্রিস্টান “গেপেট্টো” ব্র্যান্ডেনবার্গের নেতৃতে – জেটটি ৩৫,২৯০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছে মাত্র ১.১২২ গতি, যা ঘণ্টায় প্রায় ৭৫০ মাইল ছিল।এই পরীক্ষার মাধ্যমে,প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে শব্দের গতি অতিক্রম করার ইতিহাস সৃষ্টি করল।
এর আগে, সুপারসনিক বিমানগুলি প্রধানত সরকারি বা সামরিক সংস্থাগুলির দ্বারা তৈরি হতো। তবে বুম সুপারসনিকের এই সাফল্য বেসরকারি সংস্থা হিসেবে সুপারসনিক বিমানের যুগে নতুন সম্ভাবনার সূচনা করেছে।
বুম সুপারসনিকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ব্লেক স্কল জানান, ” সুপারসনিকা উড্ডয়ন প্রমাণ করে যে, যাত্রী পরিবহণের জন্য সুপারসনিক প্রযুক্তি এখন আসতে
চলেছে। আমরা যে ছোট একটি বল গড়ে ঘুরেছিলাম সোয়া কেইপারমেটিক হয়েছে, যা আগে শুধুমাত্র সরকারের যারা এবং বিলিয়ন ডলার পরিশোরে দিনা
এই পরীক্ষার মাধ্যমে বুম সুপারসনিক তাদের পরবর্তী প্রকল্প, ওভারচ্যুর নামক সুপারসনিক যাত্রীবাহী বিমান তৈরির পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এই নতুন বিমানটি ঘণ্টায় ১,২০০ মাইল গতিতে চলতে সক্ষম হবে।
যা আজকের সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানের দ্বিগুণ গতি। এর ফলে, আটলান্টিক মহাসাগর পার হওয়া সময় ৩.৫ ঘণ্টায় নেমে আসবে।
এই প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য বুম সুপারসনিক গত বছর নর্থ ক্যারোলিনার গ্রিনসবোরোতে ওভারচ্যুর সুপারফ্যাক্টরি নির্মাণ করেছে এই কারখানা প্রতি বছর ৬৬টি বিমান তৈরি করবে এবং ইতোমধ্যেই আমেরিকান এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এবং জাপান এয়ারলাইন্স থেকে ১৩০টি অর্ডার ও প্রি-অর্ডার গ্রহণ করেছে।
বুম সুপারসনিকের এই সাফল্য বিমান পরিবহণ শিল্পে নতুন যুগের সূচনা হতে পারে, যেখানে সুপারসনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইট আরও দ্রুত এবং সাশ্রয়ী হবে।
