
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন আইনের পরিবর্তন হলে বা সংস্কারের সুপারিশ আসলে, তা মানতে হবে।
বিএনপি নেতারা বলেছেন, মে মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রস্তুত হলে চলতি বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে কোনও সমস্যা নেই। দলটির দাবি, নির্বাচনের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে দ্রুত নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রধানের মতে, সরকারই রোডম্যাপ ঘোষণা করবে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে বিএনপি আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
রবিবার, বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানান, কমিশনের সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাদের মতে, মে বা জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কিত সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন। তবে, নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের ক্ষমতা কমিশনের নেই।
নির্বাচন তারিখ নিয়ে বিএনপি কোন প্রস্তাব দেয়নি, কারণ আইন অনুযায়ী নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার দায়িত্ব সরকারের। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বিএনপি সরকারের থেকে একটি স্পষ্ট নির্বাচন রোডম্যাপের দাবি তুলবে।
বিএনপি জানায়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনার ইচ্ছা রয়েছে, এবং তারা সরকারের সহায়তার মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচন চায়। এদিকে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুরের ঘটনার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানও তুলে ধরা হবে। সরকার থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেলে, বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ ও জেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করবে।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করছে এবং আগামী নির্বাচন এ বছরের মে বা জুনে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তিনি বলেন, ভোটার তালিকা আপগ্রেড হবে, এতে ৩০ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হবে, তবে ১৫ লাখ ভোটার মারা যাওয়ায় তারা তালিকা থেকে বাদ পড়বেন।
এছাড়া, বিএনপি নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সরকারের পদক্ষেপের দাবি তুলবে, যেহেতু এটি সরকারের অধিকার।
রবিবার বিকালে, বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে বিএনপির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন, এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদও বৈঠকে ছিলেন।