লিবিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কুফরা শহরের মরুভূমিতে আবারো গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে কমপক্ষে ৩০ জন অভিবাসী ও শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একদিন আগে একই শহরের মরুভূমিতে আরেকটি গণকবর পাওয়া যায়, যেখানে ১৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিবীয় কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে দুটি গণকবর থেকে প্রায় ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। নিরাপত্তা অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, শুক্রবার কুফরা শহরের একটি খামারে একটি গণকবর পাওয়া যায়, যেখানে ১৯টি মৃতদেহ ছিল। এগুলো ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে।
কুফরার নিরাপত্তা চেম্বারের প্রধান মোহাম্মদ আল-ফাদিল জানান, এক অভিবাসী আটক কেন্দ্রে অভিযান চালানোর পর শহরে দ্বিতীয় একটি গণকবর পাওয়া যায়, যেখানে কমপক্ষে ৩০টি মৃতদেহ ছিল। তিনি জানান, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বক্তব্য অনুসারে, প্রায় ৭০ জনকে ওই স্থানে কবর দেওয়া হয়েছিল এবং কর্তৃপক্ষ এখনও ওই এলাকা অনুসন্ধান করছে।
আল-আবরিন নামে একটি দাতব্য সংস্থা জানায়, এই গণকবরে পাওয়া কিছু লোককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
লিবিয়ায় এমন গণকবরের ঘটনা পূর্বে ঘটেছে। আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে লিবিয়া অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। গত বছর ত্রিপোলির দক্ষিণে শুয়ারিফ অঞ্চলে অন্তত ৬৫ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
২০১১ সালে লিবিয়ায় মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসন পতনের পর থেকেই দেশটি অভিবাসীদের জন্য বিপজ্জনক স্থানে পরিণত হয়েছে। ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় লাখো মানুষ লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এছাড়া, লিবিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ফেসবুকে এক পোস্টে জানিয়েছেন, কুফরা শহরে একটি গ্যাং রয়েছে, যাদের সদস্যরা অভিবাসীদের নির্যাতন করে এবং তাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা কেড়ে নেয়। তিনি বলেন, মরুভূমিতে পাওয়া মৃতদেহের ফরেনসিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জীবিত উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে।