যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যদি তার ভূখণ্ডে থাকা বিরল খনিজ সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রকে সরবরাহ করতে সম্মত না হয়, তবে তিনি দেশটিকে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দেবেন। তিনি আরো বলেন, যদি ইউক্রেন এই শর্তে রাজি না হয়, তাহলে শুধু নতুন সহায়তা দেওয়া হবে না, বরং বাইডেন প্রশাসনের সময় যতো সহায়তা কিয়েভকে দেওয়া হয়েছে, তা ফেরত নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হবে।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে। তার মতে, যদি ওয়াশিংটন কোনো প্রতিদান না পায়, তবে তা হবে একটি বড় ধরনের ‘অবোধতা’।
ট্রাম্প বলেন, “আমার মুল বক্তব্য হলো, আমি আমাদের অর্থের নিরাপত্তা চাই, কারণ ইতোমধ্যে আমরা ইউক্রেনে হাজার হাজার কোটি ডলার খরচ করেছি। ইউক্রেনের ভূমি সম্পদে প্রচুর পরিমাণে বিরল খনিজ, তেল-গ্যাস এবং অন্যান্য সম্পদ রয়েছে।”
তিনি জানান, ওয়াশিংটন ইউক্রেন থেকে ৫ হাজার কোটি ডলারের সমমূল্যের বিরল খনিজ উপাদান চায় এবং কিয়েভ মৌখিকভাবে এতে সম্মত হয়েছে। এখন শুধু লিখিত চুক্তির অপেক্ষা।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে বেরিলিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, গ্যালিয়াম, ইউরেনিয়াম, জিরকোনিয়াম, গ্রাফাইট, অ্যাপেটিট, ফ্লুরাইট, এবং নিকেলসহ বিরল খনিজের বিপুল মজুত রয়েছে। এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিরক্ষা, উচ্চ-প্রযুক্তি এবং পরিবেশবান্ধব শক্তির জন্য অপরিহার্য। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে বৈশ্বিক মজুতের ৭ শতাংশ খনিজ রয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, তিনি ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যদি কিয়েভ চুক্তিতে সম্মত না হয়, তবুও তিনি এই সম্পদ ফেরত আনতে প্রস্তুত।
“তাদের (কিয়েভ) চুক্তিতে সম্মত হওয়ার বিষয়টি তাদের ওপর নির্ভর করে। ভবিষ্যতে ইউক্রেন রাশিয়ার অংশ হবে কিনা তাও তাদের ইচ্ছা। তবে আমি বলছি— ইউক্রেনে যে অর্থ আমরা খরচ করেছি, তা ফেরত আনতে হবে, এবং আনবই।”