জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক আফসানা হকের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর অভিযোগকে চক্রান্তমূলক, মানহানিকর ও মিথ্যাচার দাবি করে এর প্রতিবাদে বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল নয়টায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে বিভাগের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো-
- পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি ব্যতীত থিসিস মূল্যায়নে তৃতীয় পরীক্ষক নির্বাচনে ড. আফসানা হকের সংশ্লিষ্টতা নেই, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাঁকে মানহানি করা হয়েছে এ ব্যাপারে বিভাগ থেকে সকল শিক্ষকের স্বাক্ষর যুক্ত করে সুস্পষ্ট বিবৃতি প্রদান করতে হবে আজ বিকাল ৫টার মধ্যে;
- সাজিদ ইকবাল (৪৯) এর আনীত অভিযোগ অনুযায়ী তার থিসিস এর উন্মুক্ত মূল্যায়ন (শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে) তিন পরীক্ষক দ্বারা ১৭ এপ্রিল বিকাল ৫টার মধ্যে করতে হবে, যেখানে প্রত্যেক শিক্ষকের মূল্যায়ন ব্যাখ্যা উন্মুক্তভাবে প্রদান করতে হবে;
- বিভাগ এর অতি গোপনীয় তথ্য সাজিদ ইকবাল (৪৯) কে বা কারা দিয়েছে এর দায়ভার বিভাগ কে নিয়ে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত বিভাগ থেকেই করতে হবে ১৭ এপ্রিল তারিখ বিকাল ৫ টার মধ্যে এবং তথ্য প্রদানকারীর নাম সকলের কাছে উন্মুক্ত করতে হবে। একই সাথে ভবিষ্যতে এহেন কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না তা নিশ্চিত করতে লিখিত পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষার্থীদের আস্বস্ত করতে হবে;
- এবং সাজিদ ইকবালের আনিত আভিযোগ যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে বিষয়টি নিয়ে বিভাগ সাজিদ তার ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নিবে তা লিখিতভাবে সকলের কাছে উন্মুক্ত করতে হবে।
এদিকে ৪ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বিভাগের সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রমে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে না। এবং ৪ দফা দাবিসমূহ বাস্তবায়নে বর্তমান বিভাগীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হলে, কর্তৃপক্ষকে তাদের অপারগতা স্বীকার করতে হবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ব্যক্ত করবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাজিদ ইকবাল তার ৮ম সেমিস্টারের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দরুন তার থিসিস ও চূড়ান্ত ফলাফলে বিপর্যয় হয়েছে বলে উপাচার্য বরাবর অভিযোগ করেন।