জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রত্যাশিত মাত্রায় বাণিজ্য হচ্ছে না। কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্য লক্ষ্য অর্জনে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।
আজ সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘পাকিস্তান-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম’–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ নিট পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার করতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সঙ্গে পাকিস্তান তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (পিআরজিএমইএ) সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এতে স্বাক্ষর করেন বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন ও পিআরজিএমইএর ভাইস চেয়ারম্যান আমির রিয়াজ ছোট্টানি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিজনেস ফোরাম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ককে শক্তিশালী করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, ‘শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করা নিয়ে উভয় দেশের আলোচনা করতে হবে। কীভাবে তা যৌক্তিক করা যায়, তা–ও বের করতে হবে আমাদের।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এ বিজনেস ফোরাম দুই দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন, বাণিজ্য প্রসার এবং বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৮ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ আমদানি করে ৬২ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য। আর পাকিস্তানে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৬ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। পাকিস্তান শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফপিসিসিআই) এবং এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে ওই দিন এমওইউ সই করেন উভয় সংগঠনের প্রতিনিধিরা।