জাবি প্রতিনিধি,
জাবি প্রসাশনের কাছে থাকা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নাম্বারে ছাত্রদলের কাছে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে হেপাটাইটিস বি এর টিকা দেয়ার কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রদানকৃত মোবাইল নম্বরে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এসএমএস পাঠানো হয়েছে।
বাগছাসের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু তৌহিদ মোঃ সিয়াম সোশাল মিডিয়াতে লিখেছেন, একটা রাজনৈতিক দলের হাতে শিক্ষার্থীদের এই তথ্য কারা তুলে দিলো? আমাদের এই প্রাইভেসি রক্ষার দায়িত্ব তো প্রশাসনকে আমরা দিয়েছিলাম। প্রশাসন এটা কিভাবে কারো হাতে এটা তুলে দিলো? আমরা কিভাবে নিশ্চয়তা পাবো যে প্রশাসন আমাদের অন্য আরো যাবতীয় তথ্য বিক্রি করে দেয়নাই! বা স্বার্থ হাসিলের জন্য এমনই কারো হাতে তুলে দেয়নাই!
জাবি প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোমান বিন হারুন সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ব্যাপারটা মোটেও ছোট নয়। সাংবাদিকতার প্রয়োজনে রেজিস্ট্রার অফিসে ১৪ দিন ঘুরেও তথ্য পাওয়া যেতো না। আর এখন ফোন নাম্বার কেন রাজনৈতিক দলের হাতে যাবে। তথ্য অধিকার আইনে প্রশাসনের নামে মামলা হওয়া উচিত।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, বিএনপিপন্থি ভিসি কামরুল আহসান স্যারকে এর জবাব দিতে হবে এবং এর পেছনের গোমর ফাঁস করতে হবে। প্রশাসন কিভাবে আমাদের ডাটা এভাবে ফাঁস করে? ভিসি স্যারকে এর জবাব দিতে হবে।
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোকসেদ আলম সোশাল মিডিয়াতে লিখেছেন, ফ্রি হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম সত্যিই একটি প্রশংসনীয় একটা উদ্যোগ। তবে ভর্তি হওয়ার সময় বাবা-মা, বাড়ীর নাম্বার,গ্রাম,পোস্ট অফিস, থানা,উপজেলা, জেলা, দ্বিতীয় অভিভাবকের তথ্য, নাম্বার, আমার স্কুল, কলেজের তথ্যসহ সব কিছু এই জাবি প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছি। নাম্বার যেহেতু পেয়েছে তার মানে উপরের সব তথ্য তারা পেতে পারে। আর এই তথ্য দিয়ে ভবিষ্যতে আমার কোনো ক্ষতি কেউ করবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে?
তবে ছাত্রদল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের গ্রেটার গুডের কথা চিন্তা করলে এটা তেমন কিছুই নয়। তারা শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্যই কাজ করছেন।