জাবি প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের দায়িত্ব ছাড়ার পরও হলের অধীনে থাকা কোয়ার্টার দখল করেছেন আওয়ামী লীগের অনুসারী কয়েকজন শিক্ষক। এতে নতুন করে ওইসব হলে দায়িত্ব পেয়েও নতুন শিক্ষকরা তাদের বরাদ্দকৃত কোয়ার্টারে উঠতে পারেননি। ফলে সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। এখন ওইসব শিক্ষকরা আবার ভোল পাল্টে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের শেল্টারে নতুনভাবে হলে বড় দায়িত্ব পেয়েছেন।
জানা যায়, দর্শন বিভাগের শিক্ষক আব্দুস সাত্তর জয় এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মেহেদী ইকবাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের দায়িত্ব শেষ হওয়ার পরও তারা হলের কোয়ার্টার ছাড়েননি।আব্দুস সাত্তার জয় নিজের ফ্ল্যাট তৈরী হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হলের কোয়াটার দখলে রাখেন। আর ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে বঙ্গবন্ধু হলের কোয়ার্টার ছাড়েন মেহেদী ইকবাল। অন্যদিকে জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের উজ্জল কুমার মন্ডলও শহীদ সালাম বরকত হলের দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর দীর্ঘদিন কোয়ার্টার দখল করে ছিলেন।
যদিও জাবির এস্টেস অফিসের সাবেক কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বাবুল বাসা ছাড়তে বললে উজ্জল কুমার মন্ডল কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হককে দিয়ে ফোন করিয়ে অন্য কাজে এস্টেট কর্মকর্তাকে মনোযোগ দিতে বলেন।
আর ৫ আগস্টের পর মেহেদী ইকবাল ক্যাম্পাস ছাড়লেও আওয়ামী লীগ করা আব্দুস সাত্তর জয় পেয়েছেন রফিক-জব্বার হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব। আর উজ্জল কুমার মন্ডল হয়েছেন শেখ রাসেল হলের ওয়ার্ডেন। রফিক জব্বার হলের প্রভোস্ট হওয়ার পর আর তিনি ক্যাম্পাসে থাকছেন না। নিজের করা বাড়িতে উঠেছেন। যদিও প্রভোস্টের দায়িত্ব ২৪ ঘণ্টা ক্যাম্পাসে থাকা।
শোনা যাচ্ছে, আব্দুস সাত্তর জয়কে ক্যাম্পাসে সাপোর্ট দিচ্ছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (ইউপিবি) নেতা হাসিব জামান। সাবেক এই ছাত্র ইউনিয়ন ও বৈষম্যবিরোধীর এই নেতাও থাকেন রফিক-জব্বার হলে। ছাত্রত্ব শেষ হলেও হাসিব এখনও হলে আছেন।
আর সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলামকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।