জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যপক মেহেদী হাসান দীপুর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্হীদের সাথে থেকে তাদের থেকে তথ্য নিয়ে আওয়ামী প্রসাশনকে জানানোর অভিযোগ উঠছে।

সাফিন আহমেদ নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক একাউন্ট থেকে এই অভিযোগর কিছু স্ক্রীনশট একটি গ্রুপে শেরা করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে যে,
জুলাই আন্দোলনে সে যে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল তা প্রথম স্ক্রিনশটেই স্পষ্ট। উনি আন্দোলনকারীদের হামলাকারী বলেছেন। হামলা করলো আমাদের উপর ছাত্রলীগ আর উনি এখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হামলাকারী করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে। বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের গ্রুপের চ্যাটে উনি এই কথা বলেন। উনার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় উনি তাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছিল যাতে শিক্ষার্থীরা ভাবে স্যার উনাদের সাথেই আছেন।
আসল ঘটনা হলো উনি ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন নিগার সুলতানার বুদ্ধিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান এবং আন্দোলনের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর রাখতেন এবং এই তথ্যগুলো ছাত্রলীগ এবং পুলিশের কাছে পৌছাতেন। এছাড়াও অধ্যাপক নিগার সুলতানার ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন হওয়ার পিছনেও উনার এবং ছাত্রলীগের বড় ভূমিকা ছিল। আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বশির আহমেদকে ছাটাই করা কোনো এক অদৃশ্য কারণে নিগার সুলতানা ডিন থেকে যায় এবং কেউ এই বিষয় নিয়ে কিছুই বলছে না। বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের শেখ মুজিবের ছবি নামানোর জন্য যে বিবৃতি দেওয়া হয়, সেখানে ৬ নম্বর সাইনটি ছিল নিগার সুলতানার। উনি বলেন আন্দোলনের সময় নাকি উনি দেশের বাহিরে ছিলেন। উনি যদি বাহিরেই থাকে তাহলে ওই বিবৃতিতে উনার স্বাক্ষর কোথা থেকে আসলো?

শিক্ষকদের এই ধরণের কর্মকাণ্ডকে ধিক্কার জানাই। তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যদি বসিরকে সরানো যায়, তাহলে নিগার সুলতানাকে সরানো যাবে না কেন?

এই বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায়ী অনুষদের ডীন নিগার সুলতানাকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষক মেহেদী হাসান দীপুকে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
