জাবি প্রতিনিধি,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসরিন সুলতানার বিরুদ্ধে ক্লাসে দেরিতে আসা ও শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এই বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে সোশাল মিডিয়াতে ব্যপক আলোচনা হচ্ছে।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে ফেসবুকে লিখেন, গতকাল নোটিশ গ্রুপে নোটিশ দেওয়া হয়েছে আগামীকাল আমাদের কোনো ক্লাস নেই। ভোরবেলা একজন টিচার জানালেন সকালে ক্লাস নেবেন। যা হোক, রেডি হয়ে গেলাম ক্লাসে।
৫ মিনিট, ১০ মিনিট, ১৫ মিনিট, ২০ মিনিট, ২৫ মিনিট যায়, টিচার ক্লাসে আসেন না।
ভাবলাম সকালের নাস্তা টা করে আসি। যখন-ই নাস্তা করতে গেলাম, তার কিছুক্ষণ পরেই টিচার ক্লাসে আসেন। নাস্তা করতে আমার ১৩ মিনিট সময় লাগে, টিচার ক্লাসে ঢুকার ১৩ মিনিট পর আমি ক্লাসে গেলে উনি আমাকে ক্লাসে ঢুকতে দেন না। কারণ হিসেবে বলেন আমি নাকি ক্লাসে আসতে দেরি করেছি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, উনি নিজেই ৩০ মিনিট দেরি করে ক্লাসে আসছেন, উনার পরে আমি ১৩ মিনিট দেরি করেছি।
উনি যদি ৩০ মিনিট দেরি করে ক্লাসে ঢুকতে পারেন তাহলে আমি কেন ১৩ মিনিট দেরি করে ক্লাসে ঢুকতে পারব না?
কখনো কখনো দেখা যায় লাঞ্চ টাইমে ক্লাস নিচ্ছেন আপনারা, অনেকের কুপন কাটা থাকে (আমারও কুপন কাটা থাকে)। আপনাদের শিডিউলছাড়া ক্লাস নেওয়ার কারণে কুপন মিস হয়ে যায়। লাঞ্চ টাইমে ক্লাস নেওয়া কতটুকু যৌক্তিক? বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচারদের থেকে এতটুকু মানবিকতা তো এক্সপেক্ট করতেই পারি, তাই না?
এছাড়া হুটহাট ক্লাস ক্যান্সেল করে দেওয়ার ঘটনা তো কমন। টিউশন ক্যান্সেল করে ক্লাসে আসি, তারপর অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর দেখি ক্লাস ক্যান্সেল। আপনাদের জরুরী মিটিং থাকে। আমাদেরও জরুরী কাজ থাকে, টিউশন থাকে। আপনার অবস্থান থেকে আপনার মিটিং টা যতটুকু গুরুত্বপূর্ণ, আমার অবস্থান থেকে আমার টিউশন টাও ততটুকুই গুরুত্বপূর্ণ (বেশীও বলতে পারেন।) কারণ টিউশন না করলে আমার পেটই চলবে না, পড়াশোনার চিন্তা মাথায় আসবে কি করে?
এছাড়া অতীতেও ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে একই ভুলের প্রতিবাদ করায় বেয়াদব বলেন প্রফেসর নাসরিন সুলতানা। উনার স্বেচ্চাচারিতায় বিভাগের শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক সবাই বিরক্ত।