জাবি প্রতিনিধি,
ডিগ্রি জালিয়াতির পরে এবার হিসাব শাখার জন্য অকার্যকর অটোমেশন সফটওয়্যার ও কম্পিউটার কেনার নামে ৩১ লাখ টাকা ব্যায়ের অভিযোগ উঠেছে সহকারী কম্পট্রোলার ফিরোজ আহমেদের বিরুদ্ধে।
২০২৩ সালে ২৫ লাখ টাকার সফটওয়্যার ও তা পরিচালনার জন্য ৬ লাখ টার ছয়টি কম্পিউটার কেনায় ফিরোরজ আহমেদের তত্ত্বাবধানে মোট ৩১ লাখ টাকা খরচ করে কম্পট্রোলার অফিস। দুই বছর পার হলেও এই সফটওয়্যার এখনও চালুই হয়নি। কম্পট্রোলার অফিসের কর্মকর্তা কর্মচাদের দাবি, ফিরোজ আহমেদ আর্থিক সুবিধা নিয়ে অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের এই সফটওয়্যার তৈরির কাজ দিয়েছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বেতন-ভাতা,পরীক্ষার ফি দেওয়াতে ভোগান্তি কামানোর জন্য ও বিশ্ববিদ্যালয় স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য সরকারের iBAS++ সিস্টেম এর সাথে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে যুক্ত হয়। iBAS++ হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি ডিজিটাল বাজেট ও হিসাব ব্যবস্থাপনা সিস্টেম, যা সরকারি অর্থের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।
এছাড়া এই অটোমেশন প্রোগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ফোকাল পয়েন্ট বা কর্তাব্যক্তি হিসেবে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত হন সহকারী কম্পট্রোলার ফিরোজ আহমেদ।
বিগত প্রশাসনের আমলে সহকারী কম্পোটোলার ফিরোজ আহমেদ সাবেক ট্রেজারার রাশেদা আক্তারকে রাজি করিয়ে আইআইটি’র ইভিনিং কোর্সের শিক্ষার্থীদের থেকে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি হিসাব সফটওয়্যার তৈরি করান যা এখন পুরোপুরি অকার্যকর। এই সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্টের নামে ছয় লাখ টাকা দিয়ে ৬ টি কম্পিউটার কেনা হলেও হিসেবের কাজ আসছেনা।অকার্যকর হয়ে পরে আছে কম্পিউটার ছয়টিও।হিসাব শাখার কাজ হাতে কলমে করা হয় বলে জানান শাখা প্রধান কম্পোটোলার মোসানুল কবির।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সেবা প্রদানের বদলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এছাড়া অভিযোগ উঠেছে যারা সফটওয়্যার তৈরি করেছেন তাদের এই ধরনের সফটওয়্যার তৈরির কাজে কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় তাদের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির জন্য এই কাজটি দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে সহকারী কম্পোটোলার ফিরোজ আহমেদ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আমি আসলে কোন কিছু কেনার ক্ষমতা রাখিনা আপনি বোধহয় ভুল ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করছেন অফিসের কেনাকাটা হয় অফিস প্রধান কম্পট্রোলার মাধ্যমে।তিনি সঠিক তথ্য দিতে পারবেন। আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। এই বিষয়ের আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।আমি আর কিছু বলতে চাইনা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পোটোলার মোসানুল কবিরকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, সফটওয়্যার ত পুরোপুরি এখনও বুঝে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়। এখনো কাজ চলছে। কোন ভুল থাকলে ঠিক করে নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ত ঐ কোম্পানিকে এখনো সব বিল পরিশোধ করেনি।সব কিছু আমাদের ঠিক করে নেওয়ার এখনো সুযোগ আছে।
অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি নাম বলতে চাইনা তবে আমার অফিসের এক কর্মকতা জড়িত। তিনি এবং এক শিক্ষকের মাধ্যমে এই সফটওয়্যার কেনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফিরোজ আহমেদ সাবেক কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতারের সময়ে নোয়াখালী ব্র্যান্ড দেখিয়ে তার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেগা প্রকল্প থেকে আর্থিক সুবিধাসহ বিভিন্ন রকম অপরাধের সাথে যুক্ত হয়েছেন বলে কথিত আছে।